মঙ্গলবার, ২৯ অক্টোবর, ২০১৩

পাস্তা ইন হোয়াইট সস

পাস্তা ইন হোয়াইট সস

 

Pasta,Cooking recipe

প্রিপারেশন টাইমঃ ১০ মিনিট
কুকিং টাইমঃ ২০ মিনিট

উপকরণঃ
*পাস্তা ২৫০ গ্রাম (এই রেসিপির জন্য সবচেয়ে ভাল হল Penne Rigate পাস্তা, বাজার ঘুরে খুঁজে না পাওয়ায় আমি Rotini পাস্তা দিয়েই কাজ চালিয়েছি)
*কচি বাঁধাকপি স্লাইস- ১/২ কাপ
*বেবি কর্ণ- ১/২ কাপ
*মটর্শুঁটি- ১/২ কাপ
*মুরগীর হাড়ছাড়া মাংস অথবা টুনা মাছ- ৫০ গ্রাম
*তরল দুধ- ১ কাপ
*ময়দা- ২ টেবিল চামচ
*সাদা গোলমরিচ গুঁড়ো
*কাল গোলমরিচ গুঁড়ো
*স্বাদ লবণ
*মিহি রসুন কুচি- ১/২ চা চামচ
*মাখন
* অলিভ ওয়েল

প্রণালীঃ
হোয়াইট সস-
>> একটি পাত্রে মাখন গরম করুন এবং রসুন কুচি দিন। এবার চামচ দিয়ে উপরে ময়দা ছিটিয়ে দিন।
>> হাল্কা বাদামী হলে দুধ এবং অল্প পানি দিয়ে নাড়তে থাকুন
>> ঘন হয়ে সসের মত হলে চুলার জ্বাল নিভিয়ে দিন এবং সাদা গোলমরিচ গুঁরো ছিটিয়ে দিন

পাস্তা-
>> একটি পাত্রে পানি, লবণ আর অলিভ অয়েল দিয়ে পাস্তা বয়েল করুন, হয়ে গেলে ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে একপাশে রাখুন।
>> ফ্রাইপ্যানে আরেকটু তেল, লবণ দিয়ে মুরগীর টুকরোগুলো ভেজে নিন, তারপর একে একে সবজিগুলো দিন, স্বাদলবণ যোগ করুন।
>> এরপর তাতে পাস্তা ঢেলে দিন ও কিছুক্ষণ নাড়াচাড়া করুন
>> ক্যানড টুনা ফিশ দিতে চাইলে এখন দিয়ে দিন।
>> এবার চুলা থেকে নামিয়ে হোয়াইট সস আর কাল গোলমরিচ গুঁড়ো মিশিয়ে সুন্দর করে পরিবেশন করুন।

ব্যস চটপট হয়ে গেল দারুণ সুস্বাদু, লো-ফ্যাট পাস্তা ইন হোয়াইট সস…

টিপস :
১) প্রথম প্রথম হোয়াইট সস করতে গেলে অনেকেই ময়দাটা দলা পাকিয়ে ফেলেন, সেক্ষেত্রে নামিয়ে ছেঁকে নিন অথবা ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করুন।

২) এই রেসিপিটাতে নানা রংয়ের সবজি ব্যবহার না করে বরং বেছে নিন সাদা সবজি গুলো।

৩) যারা একটু স্পাইসি ভাব আনতে চান, তারা পরিবেশণের সময় পাস্তার উপর লালমরিচ কুচি, বিলেতি ধনেপাতা কুচি দিতে পারেন

চিকেন কাবাব উইথ ভেজিটেবেল

রেসিপিঃ চিকেন কাবাব উইথ ভেজিটেবেল

 


ক্যাপসিকাম, টমেটো, গাঁজর ও কয়েকটা পেঁয়াজ কিউব করে কেটে নিন। ধুয়ে ঝুলিয়ে নিন। সামান্য সময়ের জন্য সিদ্ব করে (রং নষ্ট না করে) সবজি গুলো নরম করে নিন।

চিকেন কেটে তাতে এক চামচ আদা, এক চামচ রসুন, হাফ চামচ গুড়া মরিচ, দেড় চামচ টমেটো সস, লবন, সামান্য ভিনেগার, সামান্য রেড সয়াসস, একচিমটি পাপড়িকা (এটা না হলে নাই) এবং সামান্য তুলসিপাতা গুড়া (ঘ্রানটা ভাল লাগবে, না হলে নাই, আমাদের ছিল বলে দিয়েছি) দিন।

ভাল করে মাখিয়ে এক ঘন্টার জন্য ম্যারিউনেটেড করে রাখুন।

প্যানে তেল গরম করে এবার চিকেন গুলো ভেজে নিন। তেল কম হবে। গোসত থেকে পানি বের হয়ে আসবে তাই চুলার কাছে দাঁড়িয়ে থেকে ভাজুন।

ঢাকনা দিতে ভুলবেন না। এতে মাংস নরম হয়ে ভিতরটাও সিদ্ব হয়ে যাবে। মাঝে মাঝে ঢাকনা খুলে এপিট ওপিট করে দিন।

ঠিক এমন একটা পর্যায়ে এসে যাবে। ছুরির মাথা দিয়ে খুঁচিয়ে ভিতরটা দেখে নিতে পারেন, নরম হল কিনা। এবার চিকেন কাবাব হয়ে গেল এবং তুলে ঢাকনা দিয়ে রাখুন।

চিকেন ম্যারিউনেটেড করার বেঁচে থাকা বাকী রস (এটাকে কি বলব বুঝতে পারছি না) এর সাথে কয়েকটা কাঁচা মরিচ ও আরো এক চামচ টমেটো সস মিশিয়ে নিন।

এবার অন্য একটা কড়াইতে সামান্য তেল গরম করে সবজি গুলো ভাঁজতে থাকুন। সামান্য লবন দিতে ভুলবেন না।

ভাজি হয়ে গেলে এবার সেই রস/ঝোল গুলো দিয়ে দিন।

এবার ভাল করে নাড়িয়ে ভাজুন। অনেকটা স্টার ফ্রাইয়ের মত। সামান্য ধনিয়া কুঁচি দিন, ভাল লাগবে। চাইলে ঝোল রাখতে পারেন, নতুবা মাখামাখা, নতুবা একদম ভাজাভাজা। আপনার ইচ্ছা যেমন।

ব্যস পরিবেশনের জন্য প্রস্তুত।

ধনিয়া পাতার চাটনী

রেসিপিঃ ধনিয়া পাতার চাটনী

 

উপকরনঃ
- ধনিয়া পাতা (পরিমানের অনুমান আপনার উপরেই থাক)
- কয়েকটা কোষ রসুন
- কয়েকটা কাঁচা মরিচ (ঝাল বুঝে)
- সামান্য লবন (পরিমান বুঝে)
- কয়েক চামচ সরিষার তেল
প্রনালীঃ

* প্রথমে রসুন (খোসা ছড়িয়ে) এবং কাঁচা মরিচ তাওয়ায় হালকা টেলে নিন।
* এর পর সব কিছু মিশিয়ে গ্রাইন্ডিং করে নিন।
* ব্যস হয়ে গেল ধনিয়া পাতার চাটনী। পরিবেশনের জন্য প্রস্তুত।

ডেজার্ট ব্যানানা আইসক্রিম

রেসিপিঃ ডেজার্ট ব্যানানা আইসক্রিম

 

উপকরনঃ
- ভ্যানিলা আইসক্রিম বা অন্য যে কোন আইসক্রিম
- পরিমান মত কলা (সাইজ করে কেটে নিন)
- কিছু চকোলেট (টুকরা এবং গুড়া)
- কুকি/ওয়েফার
প্রনালীঃ

হালকা/মজা কলা হলে ভাল।

প্রথমে আইসক্রিম দিন, তার পর কলা!

চকোলেটের টুকরা দিন।

আবার আইসক্রিম তার উপর চকলেটের গুড়া  এবং ওয়েফার কুকি দিয়ে সাজিয়ে নিন।

পটেটো ফ্রাই

রেসিপিঃ পটেটো ফ্রাই

 

 

প্রনালীঃ

সামান্য লবন যোগে আলু সিদ্ব করে নিন। নুতন আলু হলে ছিলে নিতে পারেন, পুরানো আলু হলে চামড়া পরে ছিলে নিতে পারেন। মোটামুটি যেন ভিতরটা নরম হয়ে যায়।

এবার আলু গুলো আপনার ইচ্ছা মত ভাগ করে নিন। কাটা চামচ দিয়ে ভিতরটা কুঁচেও নিতে পারেন।

এবার একটা পাত্রে সামান্য টমেটো সস, সামান্য লবন এবং এক চিমটি মরিচ গুড়া দিয়ে ভাল করে মাখিয়ে কিছু ক্ষন রেখে দিন।

কড়াইতে তেল গরম করে তাতে আলু গুলো দিয়ে ভাল করে ভেজে নিন।

কেমন ভাজি করছেন তা আপনি বুঝে করুন।

ব্যস পরিবেশনের/খাবারের জন্য প্রস্তুত।

মটর পোলাউ স্পেশাল

রেসিপিঃ মটর পোলাউ স্পেশাল

 

প্রয়োজনীয় উপকরনঃ
- পোলাউ চালঃ তিন কাপ
- মটর শুটিঃ এক কাপ
- আদা বাটাঃ এক চা চামচ
- কয়েকটা এলাচি
- কয়েক পিস দারুচিনি
- পরিমাণ মত লবণ
- কয়েকটা কাঁচা মরিচ
- দইঃ হাফ কাপ (বাসায় দই না থাকলে হাফ কাপ দুধ গুলো এক চামচ ভিনেগার মিশালেই দই এর কাজ হয়ে যাবে)
- হাফ কাপ তেল
- তেলঃ পরিমান মত
- পরিমাণ মত গরম পানি (যে কাপে চাল মাপা হয় সেই কাপের দিগুন পানি মানে এক কাপের জন্য দুই কাপ পানি, শেষে লাগলে আরো দিতে হবে)
* পেঁয়াজ নেই
প্রণালীঃ

তেল গরম করে সামান্য লবন দিয়ে আদা, দারুচিনি এবং এলাচি দিয়ে ভাজতে হবে।

এর পর গরম পানি দিয়ে দিতে হবে এবং দই।

এমন একটা অবস্থায় এসে যাবে যখন, তখন সিদ্ব মটর শুঁটী (যা আগে সিদ্ব করে রাখা হয়েছিল) দিয়ে দিতে হবে।

ভাল করে নাড়িয়ে দিতে হবে।

এবার পোলাউ চাল (ধুয়ে ঝরিয়ে রাখা) দিয়ে দিন।

চালের উপর এক ইঞ্চির মত পানি থাকতে হবে। যদি লাগে তবে আরো দিন।

এবার ফাইন্যাল লবন দেখুন। পানি কটা হয়ে যেতে হবে। ঢাকনা দিয়ে মিনিট ১৫ জন্য রেখে দিন। দুই একবার ঢাকনা খুলে নাড়িয়ে দিন।

দুই একবার ঢাকনা খুলে নাড়িয়ে দিন। এমন একটা চমৎকার অবস্থায় এসে যাবে।

ঝরঝরে করতে আগুনের আঁচ কমিয়ে দিন এবং দম দিন। শহরে দমের জন্য এমন ব্যবস্থা ছাড়া আর কি করার আছে।

দেখুন কি ঝরঝরে এবং কি চমৎকার।

পরিবেশনের জন্য প্রস্তুত।

পেঁপে ভর্তা/বাগার

রেসিপিঃ পেঁপে ভর্তা/বাগার

 

উপকরনঃ
- কয়েক পিস পেঁপে (পরিমান আপনি খাবারের সদস্য দেখে নিন)
- পেঁয়াজ কুঁচি, একটা
- কাঁচা মরিচ কুঁচি (ঝাল বুঝে)
- ধনিয়া পাতার কুঁচি
- সরিষার তেল
- লবন (পরিমান মত)
- সামান্য/ একচিমটি চিনি
প্রনালীঃ

পেঁপে অনেকে খেতে চান না, কিন্তু আমার কাছে পেঁপে ভাল লাগে। মাছ কিংবা গোসত দিয়ে পেঁপে রান্না খুবই মজাদার (আগামীতে পেঁপে যোগে শোল মাছ রান্না দেখাবো আপনাদের)।

লবন পানিতে পেয়ে সিদ্ব করে নিন।

সিদ্ব পেঁপেকে ভাল করে গলিয়ে নিন। মিহীন হলে ভাল।

সামান্য সরিষার তেলে পেঁয়াজ এবং মরিচ কুঁচি ভাজুন, একচিমটি লবন দিতে ভুলবেন না। এটাই হচ্ছে বাগার টাইপ।

পেঁয়াজ কুঁচি হলদে রং হয়ে গেলে এবার পেঁপে দিয়ে দিন।

ভাল করে খুন্তি দিয়ে ভাজুন।

সামান্য একটু চিনি দিয়ে দিন।

ফাইন্যাল লবন দেখুন। এবার ধনিয়া পাতার কুঁচি দিন। ভাল করে মিশিয়ে নিন।

ব্যস পরিবেশনের জন্য প্রস্তুত।

লইট্ট্যা শুঁটকী ও রসূন

রেসিপিঃ লইট্ট্যা শুঁটকী ও রসূন

 

উপকরনঃ
- লুইট্ট্যা শুঁটকীঃ ২০০ গ্রাম (টুকরা ছোট বা আপনার ইচ্ছা মত করে নিতে পারেন)
- রসূনঃ গোটা হাফ কাপ
- পেঁয়াজ কুঁচিঃ হাফ কাপের চেয়ে কম
- আদা বাটাঃ ১ চা  চামচ
- হলুদ গুড়া বা বাটাঃ ১ চা চামচের কম
- মরিচ গুড়া বা বাটাঃ ১ চা চামচ (বুঝে শুনে, ঝাল পরিমিত হওয়া জরুরী)
- কাঁচা মরিচঃ ৫/৬ টা (ঝাল বুঝে)
- ধনিয়া পাতাঃ পরিমান মত
- লবনঃ পরিমান মত
- তেলঃ সয়াবিন তেল হাফ কাপের চেয়ে কম (শুঁটকীতে একটু তেল বেশি হলে ভাল হয়)
- পানিঃ পরিমান মত
প্রনালীঃ

কড়াইতে তেল গরম করে পেঁয়াজ কুঁচি সামান্য লবন যোগে ভাজুন।

আদা, রসুন গুলোও দিয়ে দিন এবং ভেজে হলদে ভাব নিয়ে আসুন।

এর পর শুঁটকী মাছ গুলো দিয়ে দিন এবং আরো একটু ভাজুন।

মরিচ ও হলুদ দিয়ে দিন।

কাঁচা মরিচ দিয়ে দিন এবং ভাল করে নাড়ুন।

এক কাপ গরম পানি দিয়ে দিন এবং ভাল করে মিশিয়ে নিন।

এবার ঢাকনা দিয়ে মিনিট ৩০ মাঝারি আগুনের আঁচে রেখে দিন। মাঝে মাঝে নাড়িয়ে দিতে ভুলবেন না। খেয়াল রাখতে হবে, যাতে আবার পানি কমে কড়াইয়ের তলায় না লেগে যায় (প্রয়োজনে আরো পানি দিতে পারেন)।

ঝোল তেমন না রাখাই উত্তম। শুঁটকী মাছ ভেঙ্গে মিশে যাবে (ইচ্ছা হলে পিসও রেখে দিতে পারেন, সে ক্ষেত্রে নাড়াতে হবে বুঝে শুনে)। এবার ফাইন্যাল লবন দেখুন, লাগলে দিন না লাগলে ওকে!

ব্যস, পরিবেশনের জন্য রেডী।