রেসিপিঃ কচুর শাক রান্না
উপকরন ও প্রনালীঃ
কাড়াইতে তেল গরম করে সামান্য লবন যোগে পেঁয়াজ কুচি, দুই টেবিল চামচ রসুন বাটা, কয়েকটা কাঁচা মরিচ দিয়ে ভাল করে ভেঁজে নিয়ে তাতে কিছু চিংড়ি মাছ দেয়া হয় এবং আবারো ভেঁজে নিলাম।
ভাঁজা শেষে হাফ চামচ হলুদ গুড়া এবং হাফ চামচ মরিচ গুড়া এবং এক কাপ পানি দিয়ে কষিয়ে ঝোল বানিয়ে নিলাম।
এবার আশা যাক প্লেন ডালের কথায়। রান্না শুরুর আগে প্লেন ডাল সামান্য ভেঁজে ভেঙ্গে নিলাম এবং পানিতে কিছুক্ষনের জন্য রেখে ভাল করে ধুয়ে নিলাম। এবার ঝোলে সেই প্লেন ডাল দিয়ে দিলাম।
ডাল নরম হয়ে যাবার জন্য প্রয়োজনে আরো এক কাপ পানি দিয়ে ঢাকনা দিয়ে আরো মিনিট বিশেক কষালাম। (এই পর্যন্ত হলেও প্লেন ডাল দিয়ে ভাত খেয়ে উঠা যাবে)
এবার সিদ্ব করে রাখা কচুর শাক দিয়ে দিলাম।
ভাল করে মিশিয়ে নিতে হবে।
ঢাকনা দিয়ে আরো অনেক সময় রেখে দিতে হবে। কচুর শাক গলে মিশে যাবে।
আগুনের আঁচ মাঝারি হতে হবে। খুন্তি দিয়ে বার বার নাড়াতে হবে। কড়াইয়ের তলায় যেন না লেগে যায়!
পানি শুকিয়ে এমন একটা অবস্থায় আস্তে বেশী দেরী লাগবে না। তবে হাতের জোর থাকা চাই। বার বার নাড়াতে হবে। ফাইন্যাল লবন/ঝাল দেখে নিতে হবে। কয়েকটা কাঁচা মরিচ দেয়া যেতে পারে।
ব্যস পরিবেশনের জন্য প্রস্তুত। গরম ভাতের সাথে একবার খেয়ে দেখতে পারেন। বরিশালের প্লেন ডাল এই কচুর শাক রান্না অরো জমিয়ে তুলেছে! মার্ভেলাস!
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন